৩। লিনাক্স নিয়ে অন্য একটি ভুল ধারণা হলো যে, লিনাক্সে কোন ভাইরাস নেই! সকলের ধারণা হয়ে থাকে, ভাইরাস শুধু উইন্ডোজ ওএসেই থাকতে পারে। ২১ শতকের শুরুর দিকে লিনাক্স খুব বেশি জনপ্রিয় ছিলোনা বা ইউজারও বেশি ছিলনা। কিন্তু বর্তমানে এটি জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, পাশাপাশি প্রোগ্রামার, সুপার কম্পিউটার, অর্গানাইজেশন তারা তাদের কম্পিউটারে এই ফ্রি ওএসটি ব্যবহার করছে। জনপ্রিয়তা ও ইউজার বৃদ্ধির সাথে সাথে তাই এখন লিনাক্সের জন্যও ভাইরাস তৈরি করা হয়ে থাকে। যেহেতু পূর্বে লিনাক্সের জন্য ভাইরাস তৈরি হতোনা, তাই অনেকের মনেই ভুল ধারণাটি থাকে যে লিনাক্সে ভাইরাস এন্ট্রি করতে পারেনা/ভাইরাস নেই। উইন্ডোজ ওএসের মতো অধিক পরিমাণে ভাইরাস তৈরি করা না হলেও লিনাক্সের জন্যও ভাইরাস তৈরি হয়, এবং লিনাক্সের জন্য এন্টিভাইরাস সফটওয়্যারও তৈরি হয় এখন। তবে লিনাক্স অন্যান্য ওএস থেকে বেশ সিকিউর একটি অপারেটিং সিস্টেম।
৪। লিনাক্স নিয়ে অনেকের মাঝেই একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে, লিনাক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন নেই। এটি সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। কারণ, আমরা সাধারণত ম্যাক ওএস/উইন্ডোজে সে সকল সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকি, সেগুলির অধিকাংশেরই এখন লিনাক্স ভার্সন রয়েছে। এছাড়াও, যেগুলি সফটওয়্যারের লিনাক্স ভার্সন নেই সেগুলিরও অল্টার্নেটিভ ভার্সন লিনাক্সে রয়েছে। তাই লিনাক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে সফটওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন নেই, এমনটি ভাবার কোন কারণ নেই। এমনকি, লিনাক্সের ওএসের মতোই তাদের সফটওয়্যারগুলিও ফ্রি হয়ে থাকে। ম্যাক ওএস/উইন্ডোজের মতো তাদের অ্যাপ্লিকেশনের জন্য পৃথকভাবে অর্থ প্রদান করতে হয়না।
৫। সর্বশেষ ভুল ধারণাটি হলো, লিনাক্সে গেইম খেলা যায়না। কিন্তু লিনাক্সেও এখন গেইম খেলা যায়। কিছুদিন পূর্বেও বিভিন্ন ইস্যুর জন্য লিনাক্সে গেইম সাপোর্ট করাতে সমস্যা হতো, কিন্তু বর্তমানে হার্ডওয়্যার কোম্পানীগুলো লিনাক্সের জন্য সাপোর্ট বাড়ানোয় সমস্যাটির সমাধান হচ্ছে। এমনকি অনেক গেইম ডেডেলপারও রয়েছেন, যারা লিনাক্স নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও লিনাক্স কমিউনিটির অনেকেই অন্যান্য ওএসের গেইমগুলিকে মডিফাই করে লিনাক্স ভার্সনে রুপান্তরিত করছেন। তাই এখন লিনাক্সে সহজেই গেইম খেলার সুযোগ বাড়ছে এবং ধীরে ধীরে লিনাক্সের গেমিং আরও ডেভেলপ হচ্ছে।
বর্তমানে লিনাক্সের ৬০০+ Distros রয়েছে। এই Distros-গুলো মূলত হচ্ছে লিনাক্সের ভার্সন। এবং সবগুলো ভার্সনই সক্রিয় রয়েছে! আরও একটি ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট হচ্ছে যে, লিনাক্সের কার্নেলের উপর বেস করেই তৈরি হয়েছে অ্যানড্রয়েডের কার্নেল। তাই আমরা যেই অ্যানড্রয়েড ফোন ব্যবহার করে থাকি, তার কোর হচ্ছে মূলত লিনাক্স।