একজন জাদুকর লিখেছেন: 

"যখন কেউ আমার কাছে কারো বিরুদ্ধে কাজ করাতে আসতো আমি কিছু জ্বিন পাঠাতাম, জ্বীনদেরকে পাঠানো হতো, হয় তাদের বাড়ির শান্তি নষ্ট করার জন্য, শারিরীক বা মানসিক অসুস্থতা সৃষ্টি করতে অথবা তাদের মেজাজ খারাপ করতে, উন্মাদনা সৃষ্টি করতে ইত্যাদি। কখনো কখনো জ্বীনরা ফিরে এসে আমাকে বলতো যে তারা "টার্গেট"কে দেখতে পায়নি, কখনো কখনো তারা বলতো যে তারা তাদের কণ্ঠস্বর শুনতে পাচ্ছে কিন্তু তবুও তাদের দেখতে পাচ্ছে না।

আমি তখন সর্বোচ্চ ক্ষমতার ইফ্রিত পাঠাতাম আর তারাও একই বাহানা দিতো। আমি তাদেরকে বলতাম যে তারা অমুক-তমুক জায়গায় থাকে এবং এখানে বা সেখানে কাজ করে। জ্বিনরা উত্তর দিতো, হ্যাঁ, আমরা সেই জায়গায়ই গিয়েছিলাম কিন্তু তাদের খুঁজে পাইনি। অনুতপ্ত হওয়ার পরে আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে মানুষের সুরক্ষার স্তর, তাদের চারপাশের জিনিস এবং এদের ক্ষমতা আলাদা।

এমন কিছু লোক আছে যাদের আদৌ কোনো সুরক্ষা নেই, এগুলো "টার্গেট" করা এবং খুঁজে পাওয়া আমাদের জন্য খুব সহজ। আবার এমন কিছু লোকও আছে যারা কুরআন তিলাওয়াত এবং জিকির-আজকার দিয়ে সুরক্ষিত থাকে, কিন্তু তারা মাঝে মাঝে নামাজ মিস করে। জ্বিনরা তখন কেবল তাদের আওয়াজ শুনতে পায়। কিন্তু যাদের প্রকৃত সুরক্ষা আছে, যাই হোক না কেন, জ্বিনরা তাদের দেখতে পায় না। তারপর আমি বুঝতে পেরেছিলাম আয়াতটির মূল অর্থ কি, *"যখন তুমি কুরআন তেলাওয়াত করো, তখন আমি তোমার এবং যারা পরকালে বিশ্বাস করে না তাদের মধ্যে একটি অদৃশ্য পর্দা স্থাপন করে দেই"* যার অর্থ আপনি মানুষ এবং জ্বীন- উভয়ের অনিষ্ট থেকে সুরক্ষা পাবেন।"

প্রতিদিন কুরআন পড়ুন, বাড়িতে না থাকলে গাড়িতে ছেড়ে শুনুন, বিশেষ করে "সূরাতুল বাকারা"। যেমন নবী করীম সাল্লালাহু আলাইহিস সাল্লাম বলেছেন: "তোমাদের ঘরগুলিকে (কোরআন তিলাওয়াত বা জিকির না করে)কবরস্থানে পরিণত করো না। যেই ঘরে নিয়মিত সূরাতুল বাকারা পাঠ করা হয়, সেই ঘরে শয়তান প্রবেশ করবেন না/পালিয়ে যাবে ।"(সহীহ মুসলিম এবং ইবন হিব্বান) (সংগৃহীত)