জান্নাত লাভের অন্যতম সহজ একটি আমল।
জান্নাত লাভের আমল, আমরা সকল মুসলিমই পরকালকে বিশ্বাস করি, হাশর-ফুলসিরাত, জান্নাত ও জাহান্নামকে বিশ্বাস করে। এবং এটিও জানি যে, মৃত্যুর পর সৎকর্ম পালনকারীগণ জান্নাত এ যাবে আর অসৎ কর্মকারীরা জাহান্নামে যাবে।
এবং মুসলিমগণ অবশ্যই জান্নাতের সৌন্দর্য্য ও নেয়ামত সম্পর্কে অবগত আছেন। কুরআন ও হাদীসের ভাষ্য থেকে আহরিত জ্ঞান অনুসারে।
আর মুসলিমগণ অবশ্যই মনে প্রাণে সর্বদা জান্নাত লাভের কামনা করেন। সুতরাং আমি আপনি যেহেতু মুসলিম তাই ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণ আহকাম মেনে রাসূল সাঃ দেখিয়ে দেওয়া সীরাতে মুস্তাকিমের অনুসরণ করে। ও তার পক্ষ থেকে বলে দেওয়া জান্নাত লাভের উপায় মেনে চললে ইনশা আল্লাহ আল্লাহর অনুগ্রহে আমরা জান্নাত লাভ করতে পারবো।
জান্নাত লাভের আমল
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
কোন মুসলিম ব্যক্তি যদি দু’টি কাজ নিয়মিত করতে পারে তাহলে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। কাজ দু’টি খুবই সহজ কিন্তু পালন করার মত মানুষ খুব কম।
প্রথমত, প্রত্যেক সালাতের পরে ১০ বার সুবহানআল্লাহ سبحان الله , ১০ বার আলহামদুলিল্লাহ الحمد لله ও ১০ বার আল্লাহু আকবর الله أكبر বলবে।
এতে ১৫০ বার জিহবার যিকর হবে এবং আল্লাহর কাছে আমলনামায় বা মীযানে ১৫০০ সাওয়াব জমা হবে।
দ্বিতীয়ত, ঘুমানোর পূর্বে ৩৪ বার আল্লাহু আকবর الله أكبر,৩৩ বার আল-হামদুলিল্লাহ الحمد لله ও ৩৩ বার সুবহানআল্লাহ سبحان الله বলবে। এতে মুখে ১০০ বার ও মীযানে ১০০০ বার হবে।
নবী কারীম সাঃ গুনে গুনে তা সাহাবায়ে কেরামকে দেখান। সাহাবীগন প্রশ্ন করে বেলন। জান্নাত লাভের আমল এত সহজ হওয়া সত্ত্বেও পালনকারী কম কেন? তখন তিঁনি উত্তরে বলেনঃ “কেউ শুয়ে পড়লে শয়তান এসে এগুলি বলার আগেই ঘুম পাড়িয়ে দেয়। এবং সালাতের পরে এগুলি বলার আগেই তাকে তার বিভিন্ন কথা মনে করিয়ে দেয়।
তথ্যসূত্রঃ [সুনানু আবু দাউদ ৪/৩১৬,নং ৫০৬৫]
আমাদের উচিত এই সহজ আমল দুটি সর্বদা পালন করা। কারণ আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় হলো বান্দাদের ঐ সকল আমল। যা সর্বদা পালন করা হয়, যদিও তা একদম ছোট আমল বা কম আমল হোক না কেন।
ইনশাআল্লাহ আমরা আজ থেকেই জান্নাত লাভের এই আমলটি মুয়াজাবাত/সর্বদা পালন করবো।
আরো পড়ুনঃ নফস/আত্মার নিয়ন্ত্রণে যে ১৫ টি আমল করবেন।