বাংলা বর্ণমালা
বাংলা বর্ণমালা কয়টি এবং কি কি এবং প্রতিটি বর্ণের সঠিক উচ্চারণের উপর আজকের প্রবন্ধ। বাংলা বর্ণমালার সংখ্যা জানার পূর্বে আমাদের জানতে হবে ধ্বনি কাকে বলে, তা কত প্রকার এবং কি কি?
ধ্বনি: কোনো ভাষার উচ্চারিত শব্দকে বিশ্লেষণ করলে যে উপাদানসমূহ পাওয়া যায়। সেগুলোকে পৃথকভাবে ধ্বণি বলে।
এক কথায় বলতে গেলে, ভাষার ক্ষুদ্রতম একক হল ধ্বনি। যেমন: কলা শব্দটির ধ্বনি হল ‘ক+অ+ল+আ’। কেননা এগুলো সমন্ময়ে কলা শব্দটি গঠিত হয়েছে।
সুতরাং ‘ক+অ+ল+আ’ এগুলোর প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ধ্বনি।
বাংলা ভাষার ব্যবহৃত ধ্বনিগুলো প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা যায়।
১. স্বরধ্বনি ২. ব্যঞ্জনধ্বনি।
১.স্বরধ্বনি: সে ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া নিজে নিজে উচ্চারিত হয় এবং যে ধ্বনির সাহায্যে অন্য ধ্বনির সৃজন হয়। তাকে স্বধ্বনি বলে।
বাংলা ভাষায় স্বরধ্বনি মোট ৭ টি। যথা: অ, আ, ই, উ, এ, ও, অ্যা।
২. ব্যঞ্জনধ্বনি: সে ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্য ছাড়া স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হতে পারে না এবং অন্য ধ্বনির সাহায্যে সাধারণত উচ্চারিত হয়। তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ত, ম, শ, ব ইত্যাদি।
ক (ক+অ), প(প+অ), ব(ব+অ), ভ(ভ+অ)
বাংলা বর্ণমালা কয়টি
বাংলা বর্ণমালা দুইভাগে বিভক্ত। ১. স্বরবর্ণ, ২. ব্যঞ্জনবর্ণ। স্বরধ্বনির লিখিতরূপকে স্বরবর্ণ বলে।
আর ব্যঞ্জনধ্বনির লিখিতরূপকে ব্যঞ্জনবর্ণ বলা হয়। বাংলা বর্ণমালার মধ্যে স্বরবর্ণ ১১টি আর ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি।
স্বরবর্ণগুলো হল: অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ।
ব্যঞ্জনবর্ণগুলো হল: ক, খ, গ, ঘ, ঙ, চ, ছ, জ, ঝ, ঞ, ট, ঠ, ড, ঢ, ণ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, ড়, ঢ়, য়, ৎ, ং, ঃ।
বাংলা বর্ণমালা কয়টি এবং কি কি? এবং স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের মাঝে পার্থক্য। আশা করছি, সকলেই উপকৃত হবেন।
আরো পড়ুনঃ জান্নাত লাভের সহজ আমল
আরো পড়ুনঃ তাকওয়া অর্থ কি ও তাকওয়া অবলম্বনের উপায়।