নিজের নফস বা আত্মার নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি।
নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল, যা আপনাকে যাবতীয় অশ্লীল কাজ থেকে বিরত রাখতে সহায়তা করবে।
যাবতীয় অশ্লীল কাজে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে তার নফস। মানুষকে সর্বদা কুমন্ত্রণার জালে আটকে রাখে। যেন মানব জীবন সত্যের পথে পরিচালিত না হয়, হেদায়েতের আলো দেখতে না পায়।
বরং মানুষকে ভোগ-বিলাস, পরকালীন চিন্তা থেকে মুক্ত এবং বদ আমলে উদ্বুদ্ধ করে তার নফস। যে কারণে হাদিসে নফসের সাথে যুদ্ধ করাকে বড় যুদ্ধ বলা হয়েছে। কেননা এর জাল এবং কৌশল খুবই বিসৃত।
সহজেই এর থেকে বেরিয়ে আসা যায় না। প্রকাশ্য শত্রুর মোকাবেলা করা গেলেও নফসের মোকাবেলা করা কষ্টকর।
তবে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে নফসের নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। নিজ আত্মাকে পরিশুদ্ধ করা যায়।
যে সকল কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে নফসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় এমনই ১৫টি কার্যকারী কৌশল আপনাদেরকে শিক্ষা জানানো হবে।
নফসের নিয়ন্ত্রণে রাখার ১৫ টি কৌশল
১. ফজরের পরে না ঘুমানোর অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে কাইলুলা (দুপুরের হালকা ঘুম) করা যাবে।
২. দিনে সর্বোচ্চ তিনবার খাবারের অভ্যাস করুন। সকাল, দুপুর ও রাতের খাবার ব্যতীত অন্যান্য খাবার- যেমন ফাস্টফুড, স্ট্রিটফুড খাওয়া যাবে না।
ক্ষুধা লাগলে খেজুর, আপেল বা ফল জাতীয় খাবার গ্রহণ কার যেতে পারে।
৩. প্রতি বেলা খাবাবের সময় যেটুকু খাবার যথেষ্ট বলে মনে হবে তার থেকে একটু কম খাবেন।
৪. অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকতে হবে। কোন মন্তব্য করার আগে একবার চিন্তা করুন।
এই কথাটা আপনি না বললে কি কোন ক্ষতি হবে? বলা কি আবশ্যক? উত্তর না হলে; সে কথা বলা পরিহার করুন।
৫. সকাল সন্ধ্যার কিছু সময় জিকির-আজকারে লিপ্ত থাকুন।
►► আরো পড়ুন: তাকওয়া অর্থ কি? কেন তাকওয়া অবলম্বন করা উচিত
৬. ইশরাকের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন।
৭. নিয়মিত কুরআন পড়ার অভ্যাস করুন। হতে পারে ১ রুকু থেকে ১ পারা – যেকোনো পরিমাণ।
৮. কম ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
৯. ফজরের পর নিয়মিত কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন।
১০. দৃষ্টি অবনত রাখুন।
১১. ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটার (সোশ্যাল মিডিয়ার) ব্যবহার কমিয়ে ফেলুন।
১২. কুরআন থেকে দৈনিক অন্তত এক আয়াত হলেও মুখস্থ করুন। এটা খুব খুব গুরুত্বপূর্ণ।
১৩. রাতে ভরপেট খাওয়া পরিহার করতে হবে৷
১৪. রাতে ঘুমানোর পূর্বে অজু করে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করে নিন এবং ঘুম না আসা পর্যন্ত আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকুন।
১৫. নিয়মিত তাহাজ্জুদের সালাত আদায়ের অভ্যাস করুন। ইনশাআল্লাহ, রাব্বে কারিম আপনার অন্তরকে প্রশান্ত করে দিবেন।
নফসের নিয়ন্ত্রণে যে ১৫টি কৌশল অবলম্বন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যদি আপনাদের নিকট প্রবন্ধটি উপকারী মনে হয়। তাহলে প্রচার করুন আপনার প্রিয়জনদের সাথে।
আরো পড়ুনঃ খতনা করার শারীরিক উপকারিতাসমূহ