অজুতে নাকে পানি দেওয়ার উপকারিতা কি কি এবং মানব শরীরের জন্য কতটা উপকারী সে প্রসঙ্গে আলোচনা করা হবে। শ্বাস গ্রহণ এর একমাত্র পথ হল নাক। আমরা বাতাস থেকে শ্বাস গ্রহণ করি। তার মধ্যে লালিত-পালিত হয় অসংখ্য জীবাণু। এগুলো নাকের ভিতর দিয়ে সহজেই দেহে প্রবেশ করে। এ রোগ জীবাণু, ধুলাবালি যদি সর্বদা শ্বাসের সাহায্যে নাকের মধ্যমে শরীরের ভিতর প্রবেশ করতে থাকে তাহলে বিপদজনক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা প্রবল। তাই স্থায়ী সর্দি-কাশি ও নাকের রোগের জন্য নাকে পানি দেওয়া ও ধৌত করা খুবই উপকারী।
অজুতে নাকে পানি দেওয়ার উপকারিতা
আমরা অজুর মাধ্যমে দৈনিক পাঁচবার নাক পরিষ্কার করি। তাই নাকের মধ্যে কোনো প্রকার রোগ জীবাণু লালিত-পালিত হতে পারে না। নাক মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। নাকের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল: এটি আওয়াজকে শ্রুতি মধুর করে। নাকের ছিদ্রে চাপ দিয়ে কথা বললে কথা বলে পরীক্ষা করলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।
►► আরো পড়ুন: ইসলামে দাড়ি রাখার বিধান ও এর উপকারিতা
►► ইসলামী সমাধান দ্রুত খুঁজে পেতে ভিজিট করুন আলকাউসার.কম-এ
আওয়াজকে শ্রুতিমধুর করার ক্ষেত্রে নাকের ভূমিকা
নাকের ভিতরের পর্দা আওয়াজকে শ্রুতিমধুর করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নাক দেয় মস্তিষ্কে আলোর যুগান। পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে নাকের রয়েছে বলিষ্ঠ ভূমিকা। এটি ফুসফুসের জন্য বাতাসকে পরিষ্কার, আর্দ্র, উষ্ণ ও উপযোগী বানিয়ে দেয়। প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০০ ঘনফুট বাতাস নাকের সাহায্যে ঢুকে।
পানি ব্যবহার করে নাক পরিষ্কার রাখা আবশ্যকীয়
মানবদেহের ফুসফুসকে জীবাণু, ধোঁয়া, ধুলাবালি ইত্যাদি থেকে মুক্ত রাখতে হয়। সাধারণ এয়ারকন্ডিশনার একটি ট্রাংকের সমান হয়ে থাকে। কিন্তু নাকের ‘এয়ারকন্ডিশনার’-কে আল্লাহ ক্ষুদ্র তবে ব্যাপক বানিয়েছেন। এটি মাত্র কয়েক ইঞ্চি প্রশস্ত এয়ারকন্ডিশনার হাওয়াকে ঠাণ্ডা করার জন্য নাকে ১/৪ গ্যালন আর্দ্র পদার্থ প্রতিদিন তৈরি করে। পরিচ্ছন্নতা ও অন্যান্য কঠিন কাজ সম্পাদনের দায়িত্ব নাকের ছিদ্রের। নাকের মধ্যে রয়েছে এক অণুবীক্ষণ ক্ষুদ্র মার্জনী। তাতে রয়েছে অদৃশ্য পশম যা হওয়ার সাথে মিশ্রিত হয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশকারী ক্ষতিকর ধ্বংস করে। রোগ জীবাণুকে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে আটক করা ছাড়াও তার রয়েছে আরও একটি প্রতিরক্ষাকরন পদ্ধতি। এটিকে ইংরেজিতে বলে Lysoziam.